প্যাকলোবিউট্রাজল ২৫% এসসি

উপকারিতা:
আমাদের দেশের অধিকাংশ জাতের আম গাছের বৈশিষ্ট্য হলো এক বছর ফল দেয় পরের বছর ফল দেয় না। একে পর্যায়ক্রমিক ফল ধারণ বলে। এর ফলে যে বছর গাছে আম ধরে না, সে বছর কৃষক ভাইয়েরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয় তেমনি দেশে আমের উৎপাদন ও কমে যায়। আম গাছের পর্যায়ক্রমিক ফল ধারণ বৈশিষ্ট পরিবর্তন করে দিলে, ঐ গাছে প্রতি বছর আম ধরবে, এতে কৃষক ভাইয়েরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি দেশের আম উৎপাদন ও বেড়ে যাবে।
ব্যবহার বিধি:
যে সকল আম গাছে এক বছর ফল হয় কিন্তু পরের বছর ফল হয় না সে সকল আম গাছে ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে বছর আম হবে, সে বছর আম সাহের পর ভালভাবে ডালপালা ছাঁটাই করে আম সংগ্রহের ৭০-৭৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। গাছের গোঁড়া থেকে ৪ ফুট দূরে গাছের চারপাশ ৩-৪ ইঞ্চি গভীর গোলাকার নালা তৈরী করে মাত্রা অনুযায়ী পানিতে মিশিয়ে সমভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
প্রয়োগ মাত্রা:
(শুধুমাত্র ১২-১৫ বছর বয়সের গাছে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত)
| গাছের বয়স | পরিমান | ব্যবহারের সময় |
| ১২-১৫ বছর | ১৫ মিলি | আম পাড়ার পর জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে অথবা ফুল আসার ৯০-১২০ দিন পূর্বে |
| ১৬-২৫ বছর | ২৫ মিলি | |
| ২৬-৫০ বছর | ৩৫ মিলি |
বাগান ব্যবস্থাপনা:
ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে হলে, সঠিক ভাবে বাগান ব্যবস্থাপনা করতে হবে। যে বাগানে ব্যবহার করা যাবে, সেখানে অবশ্যই দূর্বল ও রোগাক্রান্ত ডালপালা ছেঁটে ফেলতে হবে। পরিমাণ মত সেচ দিতে হবে, পানি ঘাটতি অবস্থায় কখনো প্রয়োগ করা যাবে না। স্বাভাবিক তুলনায় কিছু পরিমাণ বেশি সার দুই কিঞ্চিতে জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রয়োগ করতে হবে।
সাবধানতা:
১২ বছরের কম অথবা ৫০ বছরের বেশি বয়সী গাছে কিংবা রোগাক্রান্ত ও দূর্বল গাছে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহৃত বাগানে নতুন গাছ রোপন করতে চাইলে, যেখানে পুরাতন গাছ ছিলো সেখানে রোপন করা যাবে না। ফসল, মানুষ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন বিষাক্ত পদার্থ নেই। ব্যবহারের পূর্বে বোতল ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন। অন্য কোন রাসায়নিকের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে না। ফল পাকানোর জন্য ব্যবহার যোগ্য নহে।
উদ্দেশ্য:
গাছের অনাকঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি কমায়ে ফলন নিশ্চিত করা।




